আমরা আজকের যে কম্পিউটার ব্যবহার করতেছি তা এক দিনে আসে নি । এর পিছনে রয়েছে অনেক পরবির্তন বিবর্তন । প্রাচীন কালে মানুষ হতে গুনে গুনে হিসাব নিকাশ করত । ধীরে ধীরে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিকাশে গুটি (পাথর বিশেষ) ‍ দিয়ে হিসাব নিকাশ শুরু করে, নেপিয়ারের অস্তি ‍দিয়ে ১৫৫০ ঔদিক হিসাব করা হতো ।  খুব বড় সংখ্যা বা জঠিল সমিকরন করা যেত না । অনেক সময় পর ১৬৭১ দিকে আসে প্যাঁচক্যালিন ব্লেইজ প্যাস্কেল এর হাত ধরে । যা দিয়ে যোগ বিয়োগ গুন ভাগ করা যেত । এটি ছিলো সে সময় এর সর্বাধুনিক যন্ত্র । এটির হাত ধরে ধীরে ধীরে আধুনিক যন্ত্রের উন্নতি হতে থাকে । 

১৮৩৩ ‍দিকে স্যার  চার্লস ব্যাবেজ  হাত ধরে চলে আসে অ্যালিটিকেল যন্ত্র । বলতে গেলে এটিই হচ্ছে আমাদের আজকের আধুনিক কম্পিউটারের প্রাথমিক ভিত্তি । যন্ত্রটি সে সময় সফল যন্ত্র না হলেও তার ধারনার আদলে তৈরী আজকের  এই আধুনিক কম্পিউটার । এজন্যই স্যার চার্লস ব্যাবেজ কে আধুনিক কিম্পিউটারের জনক বলা হয় ।

১৮৮৭  ‍দিকে সূচনা ঘটল আই বি এম কম্পানির । হারমেন হলরিথ মেকানিকেল এবং ইলেকট্রিক্যাল পদ্ধতি দারা তৈরী হয় পাঞ্চকার্ড  যার দারা দ্রুত আদমশুমারির  ডাটা তৈরী করা সম্ভব হয়ে ছিলো ।

বিপ্লব শুরু এর পর আসে প্রথম স্বংক্রিয় ইলেকট্রোমেকানিকেল ডিজিটাল কম্পিউটার ১৯৪৪। যার  ওজন ছিলো ৫ টন । এর নাম দেওয়া হয় মার্ক-১ ।  এখান থেকে প্রসার ঘটলো আধুনিক কম্পিউটারে

After the beginning of the revolution came the first automatic electromechanical digital computer in 1944. Which weighed 5 tons. It is named Mark-1. From here it spread to modern computers


প্রথম প্রজন্মম ঃ 

শুরু হলো প্রথম প্রজন্মম  ১৯৪৬ জন মাউসাল এর হাত ধরে । প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল কম্পিউটার নাম হলো এনিয়াক ।  যার ওজন ‍ ছিলো ৩০ টন । সেই বছরেই জন ভন নিউম্যান ইন্টারনাল ইন্টারনাল স্টোরেজ প্রোগ্রাম চিন্তাটি  নিয়ে আসেন । এবং এই ১৯৪৬ সালেই প্রফেসর মরিশ উইলকশ তা প্রস্তুত করে ফেলেন  স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল কম্পিউটার যার দেন  এডসেক । তার ২ বছর পর ১৯৪৮  এ ট্রানজিস্টর আবিষ্কার হলো ফলে আকারে ছোট এবং তুলনামূলক ভাবে উন্নত হতে শুরু করলো। এ সময় ব্যবহার হতে থাকলো পাঞ্চকার্ড , ম্যাগনেটিক টেপ ব্যবহার ।



দ্বিতীয় প্রজন্মম ঃ

 সাল ১৯৫০ - ১৯৫৮ আবিক্ষার হলো ইন্টিগ্রেড সার্কিট ( আই.সি) ফলে অস্বাভাবিক ভাবে আকার এবং ওজন কমে গেল কম্পিউটার গুলোর । গতি বেরে গেল । শুরু হলো দ্বিতীয় প্রজন্মম ।চলে আসলো আই বি এম ১৬২০ , এন সি আর ৩০০। এই কম্পিউটার গুলোতে ব্যবহার হলো উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা । প্রথম প্রজন্মের থেকে আকারে ছোট হল । Fortran , Cobol প্রোগ্রামিং এর আর্ভির ভাব ঘটলো । 


তৃতীয় প্রজন্ম ঃ 

সাল ১৯৬৬ শুরু তৃতীয় প্রজন্ম। আবিষ্কার হলো কীবোর্ড মাউসের , প্রোগাম গুলো আরো শক্তিশালী হতে থকলো । অকার  ছোট হয়ে আসল। বিভিন্ন প্রোগ্রামং ভাষা আসা শুরু করলো ।আই বি এম ৩৭০ , পি ডি পি ২, পি ডি পি  ৮ তৃতীয় প্রজন্মের  কম্পিউটার ।


চতুর্থ প্রজন্ম ঃ 

সাল ১৯৭১ বাজারে চলে আসে আধুনিক কম্পিউটার, রেম রম ব্যবহার শুরু হয় । চলে আসে সাকে বেশ কিছু অপারেটিং সিস্টেম । আবিষ্কার হয় সুপার  কম্পিউটারের । বাজারে আসে আই বি এম পি সি ।বলতে গেলে এই সময়ে থেকেই মাইক্রো কম্পিউটার ব্যবহার শুরু ।


পঞ্চম প্রজন্ম ঃ 

সবাধুনিক আকারে সাইজে ছোট এবং তুলনামূলক ভাবে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার আসে এই পঞ্চ প্রজন্মে । এই সময়ের কম্পিউটার কৃত্তিম বুদ্ধি মত্তা সম্পন্ন । আসে আরো সহজ প্রোগ্রামিং ভাষা ।